গরমে রোদে পুড়ে ত্বকের বেহাল দশা। অনেক রকমের ক্রিম ব্যবহারেও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারছেন না। তবে চাইলে সহজ কিছু উপকরণ ব্যবহার করেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারেন। কী সেই উপকরণ, আর কিভাবে ব্যবহার করবেন তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
আমরা প্রায়ই গাছপালাকে কেবল অক্সিজেনের উৎস হিসেবে বিবেচনা করি, কিন্তু প্রকৃতির ভাণ্ডারে লুকিয়ে আছে এমন কয়েকটি অসাধারণ উদ্ভিদ, যার প্রতিদিনের ব্যবহার আপনার ত্বকের হারানো রং ফিরিয়ে আনতে পারে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি পেতে পারেন নিখুঁত ও উজ্জ্বল ত্বক।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ, যা শতাব্দী ধরে তার ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এর পাতায় উপস্থিত জেল ত্বকের জন্য একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, শুষ্কতা দূর করে এবং নরম করে তোলে। অ্যালোভেরার প্রদাহ-বিরোধী এবং নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা ত্বকের জ্বালা, ব্রণ ও দাগ কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি : একটি অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে এর জেল বের করে নিন। এই জেলটি সরাসরি আপনার মুখ ও ঘাড়ে লাগান এবং শুকাতে দিন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চাইলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসী
তুলসী কেবল একটি পবিত্র উদ্ভিদই নয়, এটি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা ত্বককে ফ্রি-র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং তরুণ রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতি : কিছু তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ঠাণ্ডা করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। তুলসী পাতা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়েও একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
নিম
নিম তার তেতো স্বাদের জন্য পরিচিত, কিন্তু এটি ত্বকের জন্য একটি চমৎকার ঔষধ। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ব্রণ, একজিমা ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতেও নিম সহায়ক।
ব্যবহারের পদ্ধতি : নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিম পাতা পিষে হলুদ ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়েও আপনি একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
সূত্র : ইটিভি
আপনার মতামত লিখুন : :