মহেন্দ্র সিং ধোনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন হিসেবে ধোনি এখন পর্যন্ত কার্যকর, সেটা বুঝিয়ে দিলেন আরও একবার। গেল ২ বছরে আইপিএলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পেয়েছেন মোটে ৪ বার। তাতে ধোনির অবদান ছিল মোটে ৩ রান! তবে গতকাল লখনৌর বিপক্ষে ধোনির ব্যাট থেকে এলো একেবারেই পরিচিত সেই দৃশ্য।
ধোনি যখন ক্রিজে নামছেন, তখনো ৩০ বলে ৫৬ রান দরকার ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। হাতে ৫ উইকেট। সাত নম্বরে নেমে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ১১ বলে করলেন অপরাজিত ২৬ রান। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ১৬৬ রানটাও চেন্নাই জিতেছে ৩ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে।
ষষ্ঠ উইকেটে শিভাম দুবের সঙ্গে ধোনির জুটিটা ছিল ২৮ বলে ৫৮ রানের। ম্যাচ জেতানো বিস্ফোরক সেই ইনিংসের সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও গিয়েছে ধোনিরই পকেটে। আর তাতে আইপিএল ইতিহাসে রেকর্ডের সাক্ষীও হলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম আসর এবং ১৮তম আসরে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন ধোনি।
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার কীর্তিটাও নিজের করে নিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৪৩ বছর ৬০ দিনে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন প্রাভিন তাম্বে। আর গতকাল ম্যাচসেরার পুরস্কার নেয়ার সময় ধোনির বয়স ছিল ৪৩ বছর ২৮১ দিন। এছাড়া আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হওয়ার রেকর্ডও এখন তারই।
আইপিএলে এর আগে কখনোই এরচেয়ে কম রানে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হননি ধোনি। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী আসরেই দিল্লির বিপক্ষে ৩৩ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২২ বলে ৪৪ রান করে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। সেটাই অবশ্য ধোনির শেষ ম্যাচসেরা হওয়ার নজির।
এরপর প্রায় ২ হাজার ১৭৫ দিন পর ম্যাচসেরা হলেন গতকাল। যদিও দুই ম্যান অব দ্য ম্যাচের সবচেয়ে বড় ব্যবধান এটাই নয়। ৮ বছরের ব্যবধানে চলতি বছর ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণ করেছেন করন শর্মা।
আপনার মতামত লিখুন : :