• ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

২০২৪ সালে বাংলাদেশের এক কোটি ১৬ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | প্রযুক্তি ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম ২০২৪ সালে বাংলাদেশের এক কোটি ১৬ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক

নীতিমালা না মানায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও নির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। সোমবার ঢাকায় ‘ডিজিটাল সেফটি সামিটে’ এ তথ্য দেন সামিটে টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন্সের প্রধান ফেরদৌস আল মোত্তাকিন।
তিনি বলেন, টিকটক নিয়মিত কমিউনিটি গাইডলাইন আপডেট করে। ২০২৪ সালে টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনের আলোকে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে, যার মধ্যে ৯৬ দশমিক ৭ ভাগ ভিডিও পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টর মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফেরদৌস বলেন, টিকটক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বিটিআরসি, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং আমাদের কমিউনিটির সাথে ক্রমাগত সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারি, যাতে তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও টিকটকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সামিটে তরুণদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, অনলাইন নিরাপত্তা, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং ডিজিটাল আচরণের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বৃদ্ধির অর্থ মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করা নয় বরং এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন বিকশিত হতে পারে এবং ব্যবহারকারীরা ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু ও প্রতারণামূলক কার্যকলাপ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে সহায়ক নিয়ন্ত্রক পরিবেশ তৈরি, দায়িত্বশীল উদ্ভাবন, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা এবং স্বচ্ছ রেগুলেশনকে বিটিআরসি উৎসাহিত করছে।”
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল উর রহমান ডিজিটাল ভবিষ্যৎ সুরক্ষা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকার বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
সামিটের বিভিন্ন প্যানেল সেশনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতিনিধি, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সাররা অনলাইন নিরাপত্তার সর্বোত্তম অনুশীলন, দায়িত্বশীল কনটেন্ট তৈরি এবং সাইবার হুমকি মোকাবেলার কৌশল সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

Side banner