বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের একটি পক্ষ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর বলে আখ্যা দিয়েছেন ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের সমন্বয়ক মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী। একই সঙ্গে সাদপন্থীদের জাতীয়ভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, সাদপন্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয়ভাবে বর্জন করতে হবে। সাদের অনুসারীরা আওয়ামী সরকারের দোসর। তারা জাতীয় শত্রু। তাদেরকে আগামীতে টঙ্গীর ইজতেমায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের হক্কানী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে যারা মামলা করতে পারে তারা আলেম নামের জালেম। জাতীয় মসজিদের খতিবের নামে যারা মামলা করেছে, হেফাজত ইসলামের নেতাদের নামে যারা মামলা করেছে তারা কেউ আলেম হতে পারে না।
অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে বলব তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন। না হলে দেশের আলেম সমাজ মাঠে নামবে। এ দেশে কাদিয়ানীদের কোন ঠাঁই হবে না। কাদিয়ানীদের দ্রুত সময়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। আলেম-ওলামেদের রক্তে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
দেশের শীর্ষ ওলামাদের বিরুদ্ধে সাদপন্থীদের মানহানি মামলা, গাজীপুর জেলার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলের অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে এই বিক্ষোভ ও মিছিলের আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচিতে সংগঠনটির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এ সময় ‘সাদপন্থীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সাদপন্থীদের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘এই বাংলায় থাকবে না, সাদপন্থীদের আস্তানা’, ‘কাদিয়ানীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সাদ কাদিয়ানী ভাই ভাই, এই বাংলায় ঠাঁই নাই’ স্লোগান শোনা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। যা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় বাইতুল মোকাররম উত্তর গেট এসে শেষ হয়।
আপনার মতামত লিখুন : :