ভিয়েতনাম ও লাওসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২৪’ এবং ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪’ পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিবস দুটি উদযাপন অনুষ্ঠানে বিশ্বের সব দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং দিবস উপলক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রবাসীদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে আয়োজন করা হয় মুক্ত আলোচনা পর্ব। এ পর্বে প্রবাসীরা দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সম্প্রতি ই-পাসপোর্ট সেবা চালু, অনলাইন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন চালু, কঙ্গুলার ফি প্রদান সহজিকরণের লক্ষ্যে কিউআর কোড ভিত্তিক পেমেন্ট সেবা চালু, সেবা গ্রহিতারা যাতে দূতাবাসে তাদের আবেদনকৃত বিভিন্ন সেবার অগ্রগতি মনিটর করতে পারে সে লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ট্র্যাকিং সিস্টেম’ চালুকরণের জন্য দূতাবাসের প্রশংসা করেন। তাছাড়া দূতাবাসের বিভিন্ন সেবাগ্রহিতারা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সেবার মান আরও উন্নয়নের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধভাবে খুব সহজে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য দূতাবাসকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভিয়েতনাম ও লাওসে বসবাসরত প্রবাসীদেরকে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে স্বাগতিক দেশের ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি পরিমাণে ফি প্রদান করতে হয়।
মুক্ত আলোচনা পর্ব শেষে দূতাবাসের পক্ষ হতে প্রবাসীদের সেবার মান আরও বৃদ্ধিকল্পে তাদের উপস্থিতিতে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান দূতাবাস প্রাঙ্গনে একটি ‘কঙ্গুলার সাপোর্ট কর্নার’ উদ্বোধন করেন। প্রবাসীরা তাদের সেবা নিতে এসে দূতাবাসের কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এই কর্নার থেকে সেই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উদ্বোধন শেষে প্রবাসী সকল বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪-এর অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান বলেন, আজ সারাবিশ্বের ১৭০টি দেশে প্রায় ১৪ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন। আপনারা আপনাদের কষ্টে অর্জিত রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালি রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সর্বোপরি, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করছেন। আপনাদের সম্মানে আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। দেশ মাতৃকার উন্নয়নে আপনাদের অবদানের জন্য আমরা কৃতার্থ।
প্রবাসীদের সেবা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য শেষ করেন।
আপনার মতামত লিখুন : :