ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখল করা হয়েছে। স্থানীয় দুই ব্যবসায়ী আশরাফ উদ্দিন ও মোস্তফা মিয়া এই কার্যালয় দখল করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওইদিন বিকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে কার্যালয়টি আগুনে জ্বালিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সহ সিনিয়র নেতারা আত্মগোপনে থাকায় এবং স্থানীয় এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম জেলখানায় বন্দি থাকার কারণে রাজনৈতিক শুন্যতা দেখা দেয়। আর এই সুযোগে পুরো অফিস এবং জায়গাটি দখল করে নেয়া হয়। বর্তমানে এটি ফার্নিচারের কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণের লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা এই ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছিল।
এদিকে দখলদার আশরাফ উদ্দিন বলেন, ভবনটি ফাঁকা পড়ে ছিল। এখানে মানুষজন প্রস্রাব পায়খানা করতো। পরিবেশ নষ্ট হতো বলে আমি কারখানা দিয়েছি।
মোস্তফা মিয়া বলেন, জায়গা খালি ছিল দেখে কাজে লাগিয়েছি। কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করিনি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি এ কে এম মুসা বলেন, দলীয় অফিস দখল করে বাণিজ্য করা কোনো রাজনৈতিক সৌজন্যের মধ্যে পড়ে না। এটা দায়িত্বহীনতা ও অনৈতিকতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন : :