বিমানবন্দরে নরওয়ে নাগরিককে পরিবারসহ মারধর

রাজধারীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ের নাগরিককে মারধর করা হয়েছে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়েছেন। এ সময় তার পরিবারের আরও চার সদস্য হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে বিমানবন্দরের আগমনী ক্যানপি-২ এলাকায় বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্স (কিউআরএফ) এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ ওঠেছে।
মারধরের শিকার যাত্রীর নাম মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন। হেনস্তার শিকার চারজন হলেন সাইদের বাবা গিয়াস উদ্দিন, মা বেগম মনোয়ারা, ভাই মোহাম্মদ মহি উদ্দিন এবং গিয়াস উদ্দিনের পুত্রবধূ ইপসা জান্নাতুল নাঈম। তাদের গ্রামের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী।
এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে এক নারী তার ছেলেকে জড়িয়ে কান্না করছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, কিউআরএফ ও আনসারের ১০ জনের মতো সদস্য চারদিক থেকে ঘিরে ধরে সাইদ উদ্দিনকে মারধর করছেন। এ সময় একজন নারী চিৎকার করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।
অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারধরে সাইদের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়েছে। মুখের নিচে ও বাঁ চোখের পাশে রক্ত লেগে আছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ যাত্রী নরওয়ে থেকে কাতারের দোহা হয়ে কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (কিউআর-৬৩৮) ঢাকায় এসেছেন। যাত্রীরা বের হওয়ার সময় কিউআরএফ সদস্যরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে দলগতভাবে আক্রমণ করে সাইদ উদ্দিনকে রক্তাক্ত করা হয়। 
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের একজন নিরাপত্তা কর্মীকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং তারা ওই কর্মীকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আনসার ও এভিয়েশন সিকিউরিটি সদস্যরা এগিয়ে আসেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক সিহাব কায়সার খান বলেন, দুই ছেলে, বাবা, মা ও এক ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য নরওয়ে থেকে ঢাকায় আসেন। কোনো একটি স্থান থেকে তাদের সরে যেতে বলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। পরে এক ছেলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে আমরা আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেব বলেও জানান তিনি।