উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে উড্ডয়ন করে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ উড়োজাহাজ ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’। অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের দোহায় যাত্রাবিরতি করে বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হয়। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।
গাড়িতে খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি। গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাইদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দারসহ আত্মীয়স্বজনেরা তাকে বিদায় জানান।
খালেদা জিয়া ফিরোজা ছাড়ার পর সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডাম বাসা থেকে রওনা হয়েছেন। তিনি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর তার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেখা হয়েছে। লন্ডনে আরেক পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।
চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর দেশে ফিরে একাধিক দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের শুরু থেকেই কারাবাসে যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন : :