ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে অনারম্বর পরিবেশে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যগণ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক এমপি এম এ খালেক পিএসসি সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহমুদ শ্যামল সাধারণ সম্পাদক এর নেতৃত্বে ১০৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাতটি উপজেলা থেকে গুণীজনেরা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। নতুন কমিটিতে বাঞ্ছারামপুর থেকে ৯ জন বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি সাবেক এমপি এম এ খালেক পিএসসির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ শ্যামলের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনায় সহযোগিতা করেছেন আশুগঞ্জের কৃতিসন্তান সমিতির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শামীম।
ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির নব নির্বাচিত ১০৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে স্থান পাওয়া ব্যক্তিগণ সর্বজনাব ১. সভাপতি পদে সর্বোচ্চ সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাঞ্ছারামপুর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য জনাব এম এ খালেক পিএসসি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে এই প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতিতে কেউ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে। বাকি আটজনই সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে ২. অ্যাড. রফিক সিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। নিয়মিত টকশো করেন আর পাশে থাকেন এলাকার মানুষের। তিনিও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ গ্রামে জন্মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। ৩. অ্যাড. জিয়াউদ্দিন জিয়া। তিনি জিয়া পরিবারের আইনজীবী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর গ্রামে জন্মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে অ্যাডভোকেট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ৪. বাবুল এমদাদ, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত, যিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন দড়িভেলানগর গ্রামে জন্মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। ৫. ইঞ্জি. কাজী দবির উদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নে জন্মিয়ে ঢাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য সফল হয়েছেন, সংযুক্ত আছেন রাজনীতির সাথে, বিএনপি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কমিটিতে ছিলেন সহসভাপতি, বর্তমানেও বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। ৬. মিয়া মোঃ ইলিয়াস, বাঞ্ছারামপুর সদরে জন্মানো
উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন সমন্বয়ক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এলাকাবাসীর আস্থার জায়গা। বর্তমানে রাজনীতি ও সমাজ সেবার সাথে জড়িত আছেন। স্বৈরাচার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহযোগী ছিলেন। ৭. ভিপি আমিরুল ইসলাম সাজ্জাদ, বাঞ্ছারামপুর উপজেলাধীন দশদোনা গ্রামের এই সাহসী ছাত্রনেতা বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ছিলেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ অলংকৃতও করেছেন এবং বর্তমানেও সমাজসেবা ও রাজনীতির সাথে নিজেকে সংযুক্ত রেখেছেন। স্বৈরাচার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহযোগী ছিলেন। ৮. ইঞ্জিনিয়ার বদরুল আলম বাদল, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের সাবেক ছাত্র, রূপসদী বৃন্দাবন স্কুলের জনাব ফরিদ উদ্দিন খান বিএসসি মাস্টারের ছেলে আকানগরবাসী পড়ালেখা শেষ করে বিসিএস তথা সরকারি চাকরিতেই মনোযোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ঢাকার পিডব্লিউডিতে কর্মরত। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে উনার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে এবং বাঞ্ছারামপুর থেকে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ৯. অ্যাড. মীর আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এই তরুণ আইনজীবী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের খাউরপুর গ্রামে জন্মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে পড়ার গৌরব অর্জন করেন। স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদল শাখার আইন সম্পাদক দিয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে হাতেখড়ি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য হিসেবে স্বৈরাচার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মাঠে ও অনলাইনে সমানতালে সাহসী ও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। সম্প্রতি তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক পলিসি এনালাইসিস বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহমুদ শ্যামল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির ঐতিহ্য ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করে সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কিছু করা। আজকের নবনির্বাচিত কমিটি সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের জন্মস্থান প্রাণের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক কল্যাণে আমরা চেষ্টা করে যাবো এটাই আজকের অঙ্গীকার।
শিল্প-সংস্কৃতির আঁতুরঘর, ছানামুখির শহর, তিতাসের অববাহিকা, আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ও জাতীয় বীরের শহর, আমাদের প্রাণের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আর এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উঠে এসেই আমাদের পূর্বপুরুষরা ঢাকায় তৈরি করেছিল ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি। আগামীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতি অত্র অঞ্চলে শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও বাঞ্ছারামপুরের গণমানুষের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য জনাব এম এ খালেক পিএসসি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন : :