• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

সকালের যে অভ্যাসগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | জীবনযাপন ডেস্ক জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম সকালের যে অভ্যাসগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে

কোলেস্টেরল রক্তে মোমের মতো এক ধরনের পদার্থ। এটি কোষ গঠনের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু এর অত্যধিক মাত্রা ক্ষতিকারক হতে পারে। ডব্লিউএইচও অনুসারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি ২.৬ মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ হতে পারে (মোট কোলেস্টেরলের ৪.৫%)। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, যার ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ সাহায্য করতে পারে, তবে সকালের অভ্যাস থেকে শুরু করে জীবনযাপনে ছোট ছোট পরিবর্তন আনা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালের কিছু অভ্যাস যেগুলো কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে-
লেবুপানির সতেজতা:
খালি পেটে লেবুর রস দিয়ে হালকা গরম পানি পান করলে তা শরীর পরিষ্কার এবং লিপিড বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করে। লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায় এবং ধমনীতে প্লাক জমা হওয়া রোধ করতে পারে। এটি দিন শুরু করার একটি সহজ কিন্তু সতেজ উপায় হতে পারে।
ফাইবার সমৃদ্ধ নাস্তা:
আপনার নাস্তায় উচ্চ দ্রবণীয় ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন ওটস, চিয়া বীজ অথবা আপেল এবং কলার মতো ফল রাখুন। দ্রবণীয় ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের কোলেস্টেরলের সঙ্গে আবদ্ধ হয়, যা রক্তে শোষিত হতে বাধা দেয়। এই অভ্যাসটি কেবল খউখ কমাতে সাহায্য করে না বরং আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাতেও সাহায্য করে।
কফির পরিবর্তে গ্রিন টি পান করুন:
আপনি যদি কফি পান করেন, তাহলে গ্রিন টি দিয়ে এটির পরিবর্তে চেষ্টা করুন। গ্রিন টি ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে এক কাপ গ্রিন টি পান করলে হৃদপিণ্ডের সুরক্ষার পাশাপাশি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
বাদাম এবং বীজ
আপনার সকালের রুটিনে এক মুঠো বাদাম যোগ করুন। সকালে বাদাম, আখরোট বা তিসির বীজ একসঙ্গে খান। এই বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা এলডিএল কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) মাত্রা উন্নত করে। বাদামে ক্যালোরি বেশি থাকে বলে মনে রাখবেন এক মুঠো বাদাম খেলেই যথেষ্ট।
দ্রুত সকালের হাঁটা:
প্রতিদিন সকালে ২০-৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। সকালের হাঁটা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং আপনার বাকি দিনকে ইতিবাচক রাখে।
সকালের যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং:
মৃদু যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং মানসিক চাপ কমাতে পারে। মানসিক চাপ কিন্তু উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রায় অবদান রাখে। কোবরা বা সেতু বন্ধাসনের মতো ভঙ্গী রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ১০-১৫ মিনিটও কিছুটা পার্থক্য আনতে পারে।
সকালে চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না:
নাস্তায় চিনিযুক্ত পেস্ট্রি এবং মিষ্টিযুক্ত পানীয় বাদ দিন। অতিরিক্ত চিনি ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়াতে পারে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। আপনার স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনো আপস না করে আপনার মিষ্টি স্বাদ পূরণ করতে মধু বা তাজা ফলের মতো প্রাকৃতিক মিষ্টির দিকে মনোনিবেশ করুন।

Side banner