চুয়াডাঙ্গায় শিশু বলাৎকারের ঘটনায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল ইসলাম (২২) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের ঘুষিপাড়ার সেলিম মন্ডলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একই পাড়ার উজ্জল হোসেনের শিশু পুত্র (৯) নিয়মিত হাসাদহ ঘুষিপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিম ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের ধর্মীয় শিক্ষক নাজমুল ইসলামের কাছে আরবি শিখতো। ২০২৩ সালের ১৫ মে নাজমুল ওই শিশুকে কোমল পানীয় খাওয়ানোর কথা বলে ১৬ তারিখ ভোরে আসতে বলে। সেদিন মসজিদে গেলে কৌশলে ঘরের জানালা দরজা আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করা হয়। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে জানালে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় শিশুর মা শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৭ মে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
একই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই শাহ্ আলী মিয়া একজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্য ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একমাত্র আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আনাদায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আপনার মতামত লিখুন : :