চাকরির প্রলোভনে ৭০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য ও এক নারীকে যৌন নির্যাতন মামলায় মাদারীপুরের ঝাউদি শেখ শহিদুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুল আবেদীন লুৎফরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুলপদ্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে গ্রেপ্তারকৃত লুৎফরকে মাদারীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে, তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মাদারীপুর দুদক কার্যালয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝাউদি শেখ শহিদুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া কথা বলে কাঞ্চন মোল্লা, ইয়ামিন মোল্লা, আল আমিন হাওলাদার, কাজী আলমগীর হোসেন, লাভলী আক্তার, কুলসুম আক্তার, ফাতেমা আক্তার ও বিল্লাল শিকদার সহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ঘুষ নেন প্রধান শিক্ষক লুৎফর।
গত ২৪/০৬/২০২৩ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি থেকে বঞ্চিত হন ওই ৮ জন চাকরি প্রার্থী। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনে গণশুনানি, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তারা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন। ঘুষ প্রদানের প্রমাণ হিসেবে ব্যাংক চেকসহ অডিও, ভিডিও রেকর্ড রেখে দেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ বর্তমানে বেতন কাঠামো (ইএফটি) চালু হওয়ার সুযোগ নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন এক বছরের সাজাপ্রাপ্তসহ একাধিক মামলার আসামি ও বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক লুৎফর। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এক চাকরি প্রার্থী নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি লুৎফরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এসআই ইব্রাহীমের প্রচেষ্টায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে। তিনি একটা মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
আপনার মতামত লিখুন : :