নাইজেরিয়ার প্লাটেয়াও রাজ্যে কয়েক দিনের হামলায় বন্দুকধারীরা কমপক্ষে ৫২ জনকে হত্যা করেছে। দেশটির জাতীয় জরুরি সংস্থা জানিয়েছে, এ সময়ে প্রায় ২০০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই রাজ্যে কৃষক এবং গবাদি পশুপালকদের মধ্যে সহিংসতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। তবে সপ্তাহান্তে প্লাটেয়াও রাজ্যের বোকোস জেলার ছয়টি গ্রামে হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর অঞ্চলটিতে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার প্রাদুর্ভাব। সেই সময়ে একই জেলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে সহিংসতার মাত্রা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও ২২ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে রাতে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বন্দুকধারীরা নৃশংস হামলা চালিয়েছে। একাধিক সম্পত্তিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে। ১৮২০ জনেরও বেশি ব্যক্তি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তিনটি বাস্তুচ্যুতি শিবির স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্দুকধারী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়া হবে।
প্লাটেয়াও অঞ্চলটিতে কয়েকটি জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষদের বসবাস। যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘাত শত শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই সহিংসতাকে প্রায়শই মুসলিম পশুপালক এবং খ্রিস্টান কৃষকদের মধ্যে জাতিগত-ধর্মীয় সংঘাত হিসেবে চিত্রিত করা হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে চারণভূমি কমে আসাও এর প্রধান কারণ।
আপনার মতামত লিখুন : :