তিউনিশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একাধিক নৌকাডুবির ঘটনায় ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬১২ জন অভিবাসীকে। দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের পক্ষ থেকে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল গার্ড বলেছে, উদ্ধার করা অভিবাসীদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। তাদের সবাই সাব সাহারা আফ্রিকার অভিবাসী বলেও জানানো হয়েছে। অভিবাসীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন।
তিউনিশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় স্ফ্যাক্স উপকূলে রোববার (১৬ মার্চ) অভিবাসীদের বাঁচাতে রাতভর একাধিক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল গার্ড।
উদ্ধার অভিযানের পর কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। ছবিগুলোতে নারী ও শিশুসহ ক্লান্ত মানুষদের দেখা যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে দেখে মনে হচ্ছিল, তারা বুঝি মারা গেছেন। কাউকে কাউকে দেখা গেছে বয়া ধরে কোনোরকম ভেসে আছেন। অন্য একটি ছবিতে দেখা গেছে, একজন নারী উদ্ধারকারী নৌকায় একটি শিশুকে তোলার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছেন। কিন্তু ওই ছেলে শিশুটির দেহ ছিল নিথর, শক্ত, প্রাণহীন।
ন্যাশনাল গার্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গোপনে ইউরোপে পৌঁছানোর বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে সফল হয়েছে উপকূলরক্ষীরা।
লিবিয়ার পাশাপাশি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের কাছে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর সংঘাত ছেড়ে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে চান এসব অভিবাসী।
তিউনিশিয়ার স্ফ্যাক্স উপকূল থেকে ইতালির দক্ষিণের ছোট দ্বীপ লাম্পেদুসার দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার বা ৯০ মাইল। তাই হাজারো অভিবাসী প্রতিবছর ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে লাম্পেদুসায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
গত বছর ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টারত অন্তত দুই হাজার ২০০ জন অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আপনার মতামত লিখুন : :