• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

ওজন কমাতে চাইলে খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্বাস্থ্য ডেস্ক জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম ওজন কমাতে চাইলে খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন

যদি ওজন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেন, তাহলে টেকসই খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খাবারে এত বেশি বৈচিত্র রয়েছে যে স্বাদ না কমিয়েও সুষম খাদ্য খাওয়া সম্ভব। তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনার পছন্দের খাবারগুলো খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ওজন কমাতে চাইলে খাবারে কোন পরিবর্তনগুলো আনবেন-
১. হোল গ্রেইন
সাদা চাল এবং ময়দার মতো মিহি শস্যের পরিবর্তে হোল গ্রেইন যেমন বাদামি চাল, কুইনোয়া এবং পুরো গম দিয়ে তৈরি আটার খাবার খাবন। গোটা শস্যে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ভালো হজমশক্তি বাড়ায়। এই খাবারগুলো আপনার পেট দীর্ঘ সময় পূর্ণ রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। যে কারণে বারবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা চলে যায় এবং ওজন বৃদ্ধির ভয়ও কমে যায়।
২. মৌসুমি শাক-সবজি
মৌসুমি পণ্য শুধু তাজা এবং পুষ্টিকরই নয় বরং লাভজনকও বটে। উদাহরণস্বরূপ, শীতকালে গাজর, পালং শাক, মুলা এবং বিটের মতো সবজি সহজেই পাওয়া যায়। আপনার খাবারে এগুলো রাখলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন। ভাজা, স্যুপ বা তরকারির সঙ্গে মৌসুমি সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩. উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন
আমাদের খাবারে প্রায়ই পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব হতে পারে। মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুটি, টোফু এবং সয়ার মতো উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন এক্ষেত্রে সহজলভ্য হতে পারে। এগুলো দিয়ে নানা পদের খাবার তৈরি করে খাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর সালাদেও রাখতে পারেন এ ধরনের সহজলভ্য প্রোটিন। আপনি যদি ডিম বা চর্বিহীন মাংস খান তবে তাও আপনাকে তৃপ্ত রাখতে এবং চর্বি ঝরানোর সময় পেশী তৈরি করতে সাহায্য করবে।
৪. চিনি এবং পরিশোধিত শর্করা কমিয়ে দিন
অতিরিক্ত চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট ওজন বৃদ্ধির পিছনে প্রধান অপরাধী। আপনার মিষ্টি, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস এবং চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া কমিয়ে দিন। পরিবর্তে ফল, গুড় বা মধুর মতো প্রাকৃতিক বিকল্প বেছে নিন। স্ন্যাকসের জন্য রোস্ট করা মাখন, বাদাম, বা ঘরে তৈরি চাট স্প্রাউট খেতে পারেন।
৫. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খান
সব ফ্যাট খারাপ নয়। বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো এবং সরিষা, নারকেল বা অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেছে নিন। পরিমিতভাবে ঘিও চর্বির একটি ভালো উৎস যা হজমে সহায়তা করে এবং খাবারের স্বাদ বাড়ায়। ভাজা বা প্যাকেটজাত খাবার থেকে ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন।

Side banner