• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.
প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে মশার আস্তানা


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | ফয়সল আহমেদ খান অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে মশার আস্তানা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাঞ্ছারামপুর জুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চললেও প্রশাসনের নাকের ডগায় যেন ডেঙ্গু রোগের বাহক মশার চাষ করছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বাঞ্ছারামপুর সরকারি  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের লাগোয়া ড্রেনে পানি জমে থাকলেও তা অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ময়লা পানি ও আবর্জনা জমে মশার বংশবিস্তার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও দর্শনার্থীরা ডেঙ্গু আতঙ্কে থাকলেও টনক নড়ছে না  কারো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবনের নিচ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকায় আস্তে আস্তে পানি নিষ্কাশন হয়। 
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রনজন বর্মন বলেন, পানি জমে থাকলেও প্রতিনিয়ত মশার ওষুধ ছিটানো হয়।
তিনি জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জন ও চলতি ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৯৪ জন ডেংগু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের পেছনে একটি অংশে পানি জমে আছে। পানির মধ্যে ময়লা-আবর্জনার স্তূপও জমে আছে। এ পরিবেশেই প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও দর্শনার্থীরা হাঁটাচলা করছেন। 
হাসপাতালের এক কর্মচারী নাম প্রকাশে না করার শর্তে জানান, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে প্রতিদিন ডিউটি করতে ভয় করে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে পানি জমে থাকলেও কেউ অপসারণের উদ্যোগ নিচ্ছেন না। হাসপাতালের সবাই হাত-পা গুটিয়ে আছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পানি নিষ্কাশন করার নির্দেশ দিচ্ছেন না কেউ। সবাই তাকিয়ে আছেন পৌরসভার দিকে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী দরিয়াদৌলত থেকে আসা ফুলেছা বেগম এবং ছলিমাবাদ থেকে আসা নাছিমা বেগম জানান, এখানে দিনেরাতে মশা কামড়াতে থাকে। বাহির থেকে কয়েল কিনে আনলেও কাজ হয় না।
বহির্বিভাগের আরেক রোগী বলেন, ৭ দিনের ব্যবধানে দুইবার হাসপাতালে আসা হয়েছে। প্রথম দিন যে অবস্থা দেখেছি এখন আরো নাজুক অবস্থা। এখানে মশার প্রজনন হবে। হাসপাতালের ভেতরে এই অবস্থা হলে বাইরের অবস্থা আরো করুণ।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের আবসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রনজন বর্মন জানান, পানি কোনো সময় জমে থাকে না। কিছু বৃষ্টির পানি জমে গেছে। নিষ্কাশন লাইন ভবনের নিচ দিয়ে যাওয়ায় পানি নামতে সময় লাগে।
তবে পানিতে মশার ওষুধ ছিটালে তা কোনো কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চিকিৎসক।  
তিনি বলেন, পানির গভীরতা বেশি হলে সেখানে এডিস মশা লার্ভা হয় না। তবে পানির গভীরতা হাঁটু সমান বা তার নিচে হলে সেখনে এডিস মশা বংশবিস্তার করতে পারে।
তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি হাসপাতালে পরিষ্কার-পচ্ছিন্নতা অভিযান চলছে। সে অনুযায়ী বাঞ্ছারামপুর সরকারি  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও প্রতিষ্ঠানটি পরিষ্কার রাখার কথা।

Side banner