ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অভিনয় থেকে দূরে আছেন। তবে অভিনয়ে নাম লেখানোর আগেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন এ ড্যাশিং হিরো। পরে সিনেমায় নিয়মিত হলে রাজনীতিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন সোহেল রানা। কয়েক বছর অভিনয়ে অনিয়মিত হতেই ফের সরব হন রাজনীতিতে।
গেল বছর তার নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ইতোমধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে ছিল। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি), যাদের লোগোতে শোভা পেয়েছিল শান্তির প্রতীক পায়রা। তবে অনিবার্য কারণ বশত সংশোধন করে নতুন ঐ রাজনৈতিক দলের রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি’।
এবার এই অভিনেতা ও প্রযোজোক বিদায় জানিয়েছেন অভিনয় ও রাজনীতিকে। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার শখ আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে বয়সে আর কুলাবে না।
তিনি আরও বলেন, অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন আমার ৭৯ বছর। অভিনয় ও রাজনীতি দুটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হলে অনেক অ্যাক্টিভিটি করা প্রয়োজন, প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন। শারীরিক অবস্থার কারণে এগুলো তো করতে পারছি না। এখন থাকা মানে জোর করে থাকা।
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনার মাধ্যমে পথচলা শুরু সোহেল রানার। এর বছর দুয়েক পর ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
সোহেল রানাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত ছিলেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন : :