• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের পদ নিয়ে কোন্দল চরমে 


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | রফিকুল ইসলাম অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের পদ নিয়ে কোন্দল চরমে 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায়  ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়টি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেই থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে শিক্ষা কার্যক্রম। এলাকার ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মান  উন্নয়নে যা ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে। কলেজের প্রশাসন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরলস প্রচেষ্টায় ছাত্রছাত্রীরা ভাল ফলাফলের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজে ভর্তির  সুযোগ পেয়ে কলেজের  সুনাম ভাবমূর্তি স্থানীয়ভাবে উজ্জ্বল করেছে। 
ভিতরবন্দ  স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম জয়নুল আবেদিন স্যার অবসরজনিত কারণে বিদায় নিলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ে নতুন করে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া নেয়া হয়। 
স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে এবং নিয়োগ বিধিমালা অমান্য করে ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে মো. মিজানুর রহমান বুলবুল ২০১৭ সালে কলেজের অধ্যক্ষ  হিসেবে  নিয়োগ লাভ করেন। নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে নিয়োগ লাভ করায় পরবর্তীতে শিক্ষা অধিদপ্তরে অনেক যোগাযোগ করেও অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বুলবুল তার নিয়োগকৃত পদে দীর্ঘ সময়ও  বৈধতা পায়নি। ফলে অদ্যবধি তিনি অধ্যক্ষ পদে কোন ধরনের বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারেনি। সেই সাথে অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বুলবুল এর সাথে কলেজের উপাধ্যক্ষ ফারুক হোসেন আহমেদ এর সঙ্গে অধ্যক্ষের বাগবিতন্ডা ও মতের অমিল শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে তাদের দুজনের সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকে। 
এরই মাঝে  দেশের পট পরিবর্তনের পর দুজনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে ভিতরবন্দ  স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদ হতে মো. মিজানুর রহমান বুলবুলকে বহিষ্কার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কলেজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে কলেজের সভাপতি নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপাধ্যক্ষ ফারুক হোসেন আহমেদকে সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। 
বহিষ্কৃত  অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বুলবুল কলেজে প্রবেশ করলে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সাথে মিজানুর রহমান বুলবুল এর লোকজনের দ্বন্দ্ব সংঘাতের সৃষ্টি হয় এবং অধ্যক্ষের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়া হয়। 
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি আদালতে মামলা দায়ের করে। ফলে কলেজের প্রশাসনিক কাঠামো একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। আর এই সকল দ্বন্দ্ব সংঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

Side banner