সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার ছড়াগাঙ রাবার বাগান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটক দুজন হলেন- শাহপরান থানার দলুইপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫) ও একই থানার উত্তর মোকামের গোল পীরেরবাজার হাসেম মিয়া ছেলে আব্দুর রহিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকায় তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, সকালে আমার মেয়ের মোবাইল থেকে একটি ফোনকল আসে। ফোনকলে জানানো হয় একটি চা বাগান এলাকায় সে রক্তাক্ত অবস্থায় আছে। এসময় তাকে উদ্ধার করার কথা জানানো হয়। পরবর্তীতে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা ওসমানী হাসপাতালে মেয়ের কাছে আসি।
মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। এজন্য তার চিকিৎসা চলছে। গত চারদিন আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পাননি। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :