যশোর জেলার বেনাপোল পোর্টথানা এলাকা হতে ৬২ (বাষট্টি) কেজি গাঁজা সহ মো. সাগর হোসেন (২৪), মো. ইমরান হোসেন (২৭) ও মো. জসিম উদ্দিন (৩৫) নামের তিন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬, যশোর ও ৪৯ বিজিবি'র যৌথ আভিযানিক দল।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোরের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ফ্লা.লে. মো.রাসেল এক "প্রেস রিলিজ"এ জানিয়েছেন-"এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়াও র্যাব বিভিন্ন সময়ে ফেনসিডিল, দেশী-বিদেশী মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতঃ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে"।
"সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে গাঁজা ও অন্যান্য মাদকের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশীসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে"।
"এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৭'২০ মিনিটের দিকে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ বাহাদুরপুর গ্রামের (সীমান্তবর্তী এলাকা) আসামী মো. সাগর হোসেন এর বসতবাড়িতে কতিপয় মাদক বিক্রেতা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের চালান সরবরাহের জন্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ৪৯ বিজিবি'র সহযোগীতায় যৌথ আভিযানিক দল উক্ত বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে"।
"উক্ত অভিযানে আসামী (১) মোঃ সাগর হোসেন, পিতা- মোঃ জাকির হোসেন, মাতা- মোছাঃ সাথী খাতুন, সাং- বাহাদুরপুর (পূর্ব পাড়া), থানা- বেনাপোল পোর্ট, (২) মোঃ ইমরান হোসেন , পিতা- মোঃ আব্দুল মোমিন, মাতা- মোছাঃ সোনাভান, সাং- দূর্গাপুর (উত্তরপাড়া), থানা- শার্শা, (৩) মোঃ জসিম উদ্দিন, পিতা- মোঃ আবু বক্কর, মাতা- মৃত হান্নী বেগম, সাং- ধান্য খোলা, থানা- বেনাপোল পোর্ট, সর্ব জেলা- যশোরদের’কে গ্রেফতার করা হয়"।
"আসামীদের স্বীকারোক্তী মোতাবেক উক্ত বসতবাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী শয়নকক্ষের মধ্যে চৌকির নিচ হতে মোট ৬২ (বাষট্টি) কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মুল্য ১২,৪০,০০০/- (বার লাখ চল্লিশ হাজার টাকা মাত্র)"।
"প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়,তারা পেশাদার মাদক বিক্রেতা। তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছিল। তারা পরস্পরের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে বলে জানায়। ৩নং আসামী জসিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ০২ টি মাদক মামলা ও ০২ টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে"।
আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে "প্রেস রিলিজ" এ জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :