গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর অমানবিক ও বর্বরোচিত হামলা এবং ভারতের মুসলিমদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার ছাত্র সমাজ, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী আন্দোলনের নেতারা।
সোমবার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন চত্ত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মিছিল শেষে উপজেলা চত্ত্বরে এসে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা হুমায়ন কবির। তিনি বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একইসাথে ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি সবাইকে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।
মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কর্তৃক নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এই বর্বরোচিত হামলা সারা বিশ্বে শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করছে এবং তা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ থেকে বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই।
মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এটা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের এক হতে হবে। মুসলিম বিশ্ব যদি চায় তাহলে অনতিবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধ হবে। ভারতে জঘন্যভাবে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে। আমাদের সরকারকে জানাবো শুধু নিন্দা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্ব দরবারে বিষয়টি তুলে ধরেন।
মাওলানা আলাউদ্দিন সাদী বলেন, আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও বর্বরতা থামছে না। শুধুমাত্র নিন্দা বা প্রতিবাদ জানিয়ে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। অত্যাচারি ভারত এবং ইসরায়েল এ বর্বরতা চালাতে থাকলে এর প্রতিকার করতে যা যা করা দরকার তার সবটুকু আমরা করবো ইনশাল্লাহ।
শেখ সাদী বিন আব্দুল মজিদ বলেন, ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্বের পরাশক্তির কাছে আহ্বান জানাই যাতে এই বর্বরতা বন্ধ হোক। এর সমাধান না হলে সারা পৃথিবীতে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। একইসাথে এর আশু সমাধান করতে হবে।
মাওলানা বাহাউদ্দিন বলেন, ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষদের কি অপরাধ ছিলো। ইহুদিরা তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আজ বিশ্ব মোড়লরাও এ বিষয়ে চুপচাপ। জাতিসংঘ কোন মানবতার কথা বলে? বিশ্ব বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন রাখতে চাই।
আবাস সদস্য মো: হসিবুর রহমান বলেন, আমরা যদি ঘুমিয়ে থাকি তাহলে ইহুদিরা এভাবে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করে যাবে। সারা বিশ্বের প্রতিটা মুসলিমের উচিত ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।
উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক বলেন, পৃথিবীতে যত অন্যায় অপকর্ম তার অধিকাংশ সংঘটিত হয়েছে ইহুদিদের কারণে। আমি আরব বিশ্বের সকল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা ফিলিস্তিনের সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান।
মানবতা ফাউন্ডেশন সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমাদের মুসলমান ভাইরা আজ রক্ত দিচ্ছে। অচিরেই ইনশাআল্লাহ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম বায়তুল মাকদিসে একত্রিত হবে। তখন ইহুদিরা পানির ন্যায় ভেসে যেতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৪০৪ জন নিহত, ৫৬২ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :