কারসাজি করে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করায় সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার চকবাজারের ৭ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম আকষ্মিক অভিযানে তেল বিক্রিতে বিভিন্ন অভিযোগ ও সত্যতা পাওয়ায় ৭ জন তেল ব্যবসায়ীকে মোট ১৪ হাজার ৫শত টাকা নগদ জরিমানা করেন বলে জানা গেছে।
তবে, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তেল বিক্রির মূল ডিলারদের কাছে তারা জিম্মি। জরিমানা দিলে ডিলারদের দেয়া হোক।
এবিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনাকারী এসিল্যান্ড নজরুল ইসলাম জানান, আমরা ডিলারদেরও অনুসন্ধান করছি। তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারসাজি সমূলে বিনষ্ট করা হবে।
উল্লেখ্য, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল নিয়ে নানামুখী কারসাজির সহ তেলেসমাতি কারবারের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। স্থানীয় পত্রিকা বাঞ্ছারামপুর বার্তায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
রমজানের আগে থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত বেশি মুনাফার আশায় বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। এদিকে ডিলারদের বিরুদ্ধে মরিচের গুড়া, চাল-ডাল, আটা-ময়দা ছাড়া শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে বিক্রি না করার অভিযোগ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও তেলের বোতলের গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্যে বিক্রি হচ্ছে তেল।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চকবাজারে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ খুচরা দোকানে সয়াবিন তেলের সংকট। বিশেষ করে ৫ লিটার ও ৮ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে নাই হয়ে গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরু থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে বাজারে নানামুখী কারসাজি শুরু হয়েছে। অনেক ক্রেতা তেল কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। ডিলাররা বাজারে তেল ছাড়ছে না।
আপনার মতামত লিখুন : :