চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করায় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছে ৫ যুবক। এ ঘটনার পর মতলব উত্তর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতার হাত থেকে থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন, মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. হেলাল (২৫), মোহাম্মদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৪), একই গ্রামের শামসুল হক দর্জির ছেলে নজরুল ইসলাম (২৩), মনির হোসেনের ছেলে মো. আকাশ (২৫) এবং কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে মো. নিরব (২৩)।
এসময় তাদের কাছে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে দুইটি দেশীয় অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গজরা ইউনিয়নে ডুবগী গ্রামে পাম্প হাউসের সেচ খালের জায়গায় ড্রেজিংএর মাধ্যমে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সেখানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে এই ৫ যুবক। এসময় ওই যুবকরা নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করেন। এতে সন্দেহ হলে পরবর্তীতে তাদের স্থানীয় জনগণ আটক করে থানা পুলিশে তুলে দেয়।
গজরা ইউনিয়নের আবুল হোসেন, মামুন চিশতী, সিপনসহ আরও কয়েকজন বলেন, সেচ খালে মাটি খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড টেন্ডার দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী সবাই মিলে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে এখান থেকে বালু উত্তোলন করে মাদ্রাসা, মসজিদ ও কবরস্থানে জায়গায় ভরাট করছিলাম। কিন্তু এখানে এসে ওই ৫ যুবক ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের হুমকি দেয়। তখন আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের আটক করে থানা পুলিশে হাতে তুলে দেই।
এদিকে, মতলব উত্তর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি একেএম নাজমুল হাসান, খালেদ মাহমুদ ও তামিম ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, কেউ যদি সমন্বয়কের পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে তাদের দায়ভার আমরা নেবে না। আইন সবার জন্য সমান। আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে কেউ অপরাধ করলে তাকে অপরাধের সাজা ভোগ করতেই হবে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।
অন্যদিকে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম জানান, মাটি খননের জন্য টেন্ডারের পক্রিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে ভেকু মেশিন (এক্সকাভেটর) দিয়ে খাল খনন করা যেতে পারে। কিন্তু ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে অন্য জায়গায় বালু বিক্রি করবে। এটা কাউকেই করতে দেওয়া হবে না।
আপনার মতামত লিখুন : :