নওগাঁর মান্দায় বপনের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে (বারি পেঁয়াজ-১) চারা গজায়নি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসি’র সিলমোহর করা প্যাকেট বীজ অঙ্কুরিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, পেঁয়াজের বীজ বপনের ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে অঙ্কুরিত হয়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জমিতে চারা গজায়নি। বিএডিসির সিলমোহর করা প্যাকেটে তারা প্রতারিত হয়েছেন। মসলা জাতীয় ফসল চাষ করে ক্ষতির মুখেও পড়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১১০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে প্রণোদনার ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দেওয়া হয় ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি (পটাশ) সার। প্রণোদনার এ চাষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।
উপজেলার পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার এককেজি পেঁয়াজের বীজ পেয়েছিলাম। হালচাষসহ বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক সার দিয়ে জমি তৈরির পর বীজ বপন করি। কিন্তু দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চারা গজায়নি। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
চককানু গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের দাম অত্যন্ত চড়া। ভাল দামের আশা নিয়ে আমি একবিঘা জমিতে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বপন করেছিলাম। কিন্তু চারা গজায়নি। পেঁয়াজ বপনের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ওই জমিতে এখন অন্য ফসলের চাষ করতে হবে।
কুসুম্বা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিএডিসি হরহামেশাই নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করে। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের পেঁয়াজের পর বোরো ধানের বীজেও চারা গজায়নি। পরে বাজার থেকে বাড়তি দামে ধানবীজ কিনে বীজতলায় বপন করতে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, এবারে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে চারা গজায়নি। মাঠ ঘুরে কৃষকদের এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বীজগুলো বিএডিসি সরবরাহ করেছিল। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএডিসি নওগাঁর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (বীজ বিপনন) আতিকুর রহমান বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা পেঁয়াজ বীজে নওগাঁসহ কয়েকটি অঞ্চলে সমস্যা হয়েছে। কেন এমন হয়েছে এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন : :