সকাল থেকে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট, সারাদিন দেখা মিলেনি সূর্যের। এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় শীতে কাঁপছে সারাদেশ। বাদ যায়নি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গরীব-দুঃখী মানুষও। আর এমন শীতের গভীর রাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন। এসময় নিজ হাতে ছিন্নমূল, অতিদরিদ্র মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ও যমুনা নদীর তীরবর্তী (গোবিন্দাসী নৌ ফেরিঘাট) এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভূঞাপুর উপজেলার অনেক অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষগুলো। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন এর থেকে শীতবস্ত্র (কম্বল) হাতে পেয়ে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকই কম্বল পেয়ে আবেগে উচ্ছ্বাস ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন যাবৎ এই এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। শীতে দরিদ্র মানুষদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। শীতে কোনো দুঃস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি। প্রকৃত ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন : :