গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের আন্তরিকতা বাজার মনিটরিং এর ফলে দ্রব্যমূল্যের বাজারে ফিরে এসে স্বস্তি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক হলরুমে গাইবান্ধায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান, জেলা পুলিশ এর প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যাব এর সভাপতি ও মাধুকর পত্রিকার সম্পাদক কে এম রেজাউল হক, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাকসুদার রহমান শাহান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা, পুরাতন বাজার কমিটির সভাপতি সেকেন্দার সহ গাইবান্ধার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী গণ উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে প্রথমে যে কাজটি করা দরকার বলে মনে করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থাৎ দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান যেমন টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে দ্রব্যমূল্যের আকস্মিক পরিবর্তন ঘটানো দুষ্কৃতকারীদের মুল শিকর দূর করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে অবৈধভাবে অধিকহারে পণ্য মজুত করতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি গাইবান্ধার সকল পেশাজীবি মানুষকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। অপচয় রোধ করার পাশাপাশি সরকার প্রধানের নির্দেশনা মোতাবেক এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। মূলত আমরা যদি আমাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদনে সচেষ্ট হই, তবে একদিকে যেমন আমদানির প্রবণতা কমে আসবে, ঠিক তেমনি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যও নস্যাৎ হবে। মনে রাখতে হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক বিষয় আমাদের হাতে থাকে না বটে, কিন্তু আমরা যদি সচেতন হই, তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নগামী হতে বাধ্য। সেইসঙ্গে চালান নিয়ে মালামাল ক্রয় ও বিক্রয় করার জন্য আহ্বান জানান। প্রত্যেক ক্রেতাকে পলিথিন বর্জন করে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন : :